অন্যান্য

টেকনাফে পুলিশের অভিযানে অপহরণ চক্রের দুই সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার

  প্রতিনিধি 8 October 2024 , 5:27:26 প্রিন্ট সংস্করণ

জামাল উদ্দীন – টেকনাফ (কক্সবাজার)

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণ চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় এক ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন,কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ছনখোলা পশ্চিম পাড়ার আব্দুল খায়েরের ছেলো মোঃ তারেক হোসেন (২৮) ও কালা মিয়ার ছেলে সাহাব উদ্দিন (২৬)।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত।

তিনি জানান, গতকাল সোমবার (৭ অক্টোবর) সাড়ে ৯ টার দিকে ভিকটিম পিএমখালী ৪নং ওয়ার্ড পরানিয়া পাড়ার মোঃ হোছনের ছেলে আবু সিদ্দিক (২১) পেশায় একজন সিএনজি ড্রাইভার। ভিকটিম সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।

কক্সবাজার সদর থানাধীন পিএমখালী ইউপিস্থ বাংলা বাজার এলাকায় যাত্রীর উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। যাত্রী হিসেবে দুইজন এসে টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউপিস্থ মোচনী পাড়া সাকিনে মোচনী সিএনজি স্টেশন আসবে বলে সিএনজি ভাড়া করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের গাড়িতে যাত্রী বেশে উঠা অপহরণকারীরা মোচনী সিএনজি স্টেশন পৌঁছালে উক্ত ভিকটিমকে টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউপিস্থ মোচনী পাড়া সাকিনে নয়াপাড়া মোচনী রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সামনে শুক্কুর মিয়ার ব্রিকফিল্ডের সামনে নামিয়ে দিতে বলে। ভিকটিম সরল বিশ্বাসে উক্ত অপহরণকারীরা মোচনী রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সামনে শুক্কুর মিয়ার ব্রিকফিল্ডের সামনে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ১০/১২ জন অপহরণকারী সদস্য অবস্থান করেছিল । ভিকটিম উক্ত স্থানে পৌঁছামাত্র অপহরণকারী ও অন্যান্যরা ১০/১২জন ভিকটিমকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং ভিকটিমকে অস্ত্রের মূখে ভয় দেখিয়ে তার মূখ চেপে ধরে নয়াপাড়া মোচনী রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভিতরে নিয়ে আটক করে রাখে এবং তাকে মারধর করে তার পরিবারের নিকট ফোন দিতে বলে। একপর্যায়ে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৮২৯-৩৫১৩৩৪ থেকে ভিকটিমের বাবার ব্যবহৃত মোবাইল ০১৮৩৩-০৫৬০৯৯ নম্বরে ফোন করে এবং মুক্তিপণ বাবদ ৬ লক্ষ টাকা দাবী করে। ভিকটিমের বাবা মুক্তিপণের টাকা দিতে পারবে না বলে জানালে ভিটিকমকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি ধমকি প্রদান করতে থাকে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে টেকনাফ মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে থানা পুলিশকে তার ছেলের অপহরণের বিষয়টি অবগত করে।
এরপর মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান শুরু করেন। গোপন অনুসন্ধান ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণকারীদের বর্তমান অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশের অভিযানিক টিম ভোরে টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউপিস্থ মোচনী পাড়া সাকিনে নয়াপাড়া মোচনী রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে উপস্থিত হলে অপহরণকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে মোঃ তারেক হোসেন (২৮) এবং সাহাব উদ্দিন (২৬) কে গ্রেফতার করে ভিকটিম আবু সিদ্দিক (২১) কে উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে ভিকটিম আটক ও পলাতকদেরসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং-২১/৫৪২, তাং-০৮/১০/২০২৪ইং, ধারা-৩৬৫/৩৮৫/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়।

তিনি আরো জানান,গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ

একটা কিনলে অন্যটা কেনার টাকা থাকে না ঝিনাইদহ প্রতিনিধি চার সদস্যের পরিবার নিয়ে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ঋষিপাড়ায় থাকেন ফজলুল রহমান। ভ্যান চালিয়ে দিনে আয় করেন ২৫০-৩০০ টাকা। এর অর্ধেক চলে যায় কিস্তি দিতে। বাকি টাকায় দৈনন্দিন সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে ফজলুর হরিণাকুণ্ডুর একটি দোকানে ডিম কিনতে এসেছিলেন। দাম শুনেই তিনি হতবাক। প্রতি হালি ডিমের দাম চাওয়া হচ্ছে ৫৬ টাকা। ফজলুর লোকমুখে শুনেছেন, সরকার ডিমের দাম কমিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দাম এত বেশি কেন? জিজ্ঞেস করতেই দোকানি বলেন, ‘নিলে নেন, না হলে অন্যখানে যান।’ পকেটের অবস্থা ভালো ছিল না ফজলুরের। বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। এর আগে গিয়েছিলেন স্থানীয় কাঁচাবাজারে। শাকসবজিসহ সব পণ্যের অস্বাভাবিক দামে হতাশা ঘিরে ধরে তাঁকে। আয়ের সঙ্গে খরচের হিসাব মেলাতে পারছিলেন না। ফজলুর রহমান বলেন, ১৫ দিন আগেও প্রতি পিস ডিমের দাম ছিল ১২ টাকা। এখন সেটার দাম কোথাও ১৩ টাকা ৫০ পয়সা আবার কোথাও ১৪ টাকা। হালিতে এই ১৫ দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ৬-৮ টাকা। শাকসবজি, মাছ, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ সবকিছুর দামই বেড়েছে। এভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকলে সীমিত আয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। ২৫০-৩০০ টাকা আয়ের মধ্যে ঋণ নিয়ে কেনা ভ্যানের কিস্তির জন্য দিতে হয় ১৫০ টাকা। বাকি ১০০-১৫০ টাকায় চাল, ডাল, তেল আর তরিতরকারি কেনা যায় না। একটা কিনলে অন্যটা কেনার টাকা থাকে না। কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন সাগর হোসেন। তিনি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত। হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার শুড়া এলাকায় থাকেন স্ত্রী, দুই সন্তান ও মা-বাবা নিয়ে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ছয় সদস্যের সংসারে খরচ চালাতে হিমশিম অবস্থা তাঁর। সাগর বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সবকিছুর দাম বেড়েছে। কোনো কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি। ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে ১৫ অক্টোবর সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ১৯ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সা প্রতি পিসের ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়। বুধবার থেকে এ দামে ডিম বিক্রির কথা থাকলেও বাজারের চিত্র ভিন্ন। একেক জায়গায় একেক রকম দাম নেওয়া হচ্ছ। উপজেলা শহরের কোথাও ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা, কোথাও ১৩ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের বাজারে ১৪ টাকা করে। লাগামহীন ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দামও। বাজারভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা কেজি। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ২৮০-৩২০ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা। লাউ পিস ৫০-৬০ টাকা, আলুর ৬০ টাকা কেজি। ৩০ টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। ৪০ টাকার কাঁচাকলা ৬০ টাকা। ৪০ টাকার শসা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহের চেয়ে এদিন ঢ্যাঁড়শের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকায়। প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা থেকে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা। বেগুন বিক্রি হতে দেখা গেছে ১৩০-১৫০ টাকায়। ৫০ টাকার নিচে বাজারে সবজি মিলছে না। ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। কাঁচাবাজারের বিক্রেতা খাইরুল ইসলামের ভাষ্য, কয়েকদিন আগে টানা বৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া অনেক এলাকায় বন্যা হচ্ছে। মানুষের সবজি ও কাঁচামালের ক্ষতি হয়েছে। এতে সরবরাহ কম। তাই সব কিছুর দাম বেড়েছে। দাম কমাতে হলে আগে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানান পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, আড়ত থেকে কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করেন। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মোড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে আশরাফুল ইসলামের। তাঁর দাবি, খামারির কাছ থেকেই প্রতি পিস ডিম কিনতে হয় ১৩ টাকা ২০ পয়সায়। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ রয়েছে। খুচরায় বিক্রি করছেন ১৩ টাকা ৩৩ পয়সায়। আনার সময় অনেক ডিম ভেঙে যায়। ফলে লাভ থাকে না। শুধু ক্রেতা ধরে রাখতেই ডিম বিক্রি করছেন। উৎপাদক ও পাইকার পর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ডিম বা ব্রয়লার মুরগির দাম খুচরা বাজারে কমবে না বলে মনে করেন তিনি। মাছের বাজারেও একই অবস্থা। এদিন সকালে হরিণাকুণ্ডু শহরের দৈনিক বাজারে প্রতি কেজি রুই ও কাতলা প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ২৫০-৩৫০ টাকায়। পাঙাশ ও তেলাপিয়ার দর ১৫০-২৫০ টাকা; চ্যাঙ ও দেশি পুঁটি বিক্রি হয় ৩২০-৫০০ টাকায়। মাছ বিক্রেতা জয়নাল মিয়ার ভাষ্য, আড়তে তেমন মাছ আসছে না। অল্প পরিমাণে যা আসছে, অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আড়তদার কামাল উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আড়তে মাছ আসে। কিছু এলাকায় বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে প্রচুর ঘের-পুকুর তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া প্রচুর মাছ মারাও গেছে। ফলে সরবরাহ কমেছে, তাই দাম বেশি। ঝিনাইদহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, এই এলাকায় খামারি নেই। ব্যবসায়ীরা পাবনা বা অন্য এলাকা থেকে বেশি দামে ডিম কিনেন। ফলে সরকারের বেঁধে দেওয়া দর নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবুও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ডিমসহ সব নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি চলছে জানিয়ে ইউএনও আক্তার হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সকল পেশায় অবসর থাকলেও রাজনীতিতে কেন অবসর নেই?

জাতীয়পার্টি চেয়ারম্যান জিএ কাদের বিরুদ্দে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল।

শিক্ষার্থীদের অস্ত্র চালানো শেখাচ্ছে পোল্যান্ড

নোয়াখালীতে ৫ দিনে আ. লীগে ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রপতি হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে জোরানের শপথগ্রহণ