প্রতিনিধি 13 July 2025 , 11:02:16 প্রিন্ট সংস্করণ
নওয়াপাড়া অফিসঃ-
যশোর -খুলনা মহাসড়কের একটি অংশের গা ঘেষে গড়ে উঠা বালুর ড্যাম্পের কারনে নষ্ট হচ্ছে সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি। কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন নীরবতায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে, যশোর – খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া থেকে যশোর পালবাড়ী মোড় পর্যন্ত ৩৭কিলোমিটার সংস্কার কাজ ২০১৭সাল থেকে চলমান তবে, কয়েক দফা কার্পেটিং দ্বারা সংস্কার কাজ করা হলেও তা টিকে থাকেনি। কিছু দিনের মধ্যে তা নষ্ট হয়ে খানাখন্দে পরিনত হয়। বর্তমানে এ সড়কের বিভিন্ন অংশে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে যে সড়কটিকে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে প্রায়। যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রতি নিয়ত দূর্ঘটনায়র শিকার হচ্ছে। কোন কোন সময় উল্টে যাচ্ছে যানবাহন। বিশেষ করে আলীপুর থেকে প্রেমবাগ উড়োতলা পর্যন্ত এই অংশের বিভিন্ন স্থানে তৈরী হয়েছে বড় বড় গর্ত। স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কের একাংশের গা ঘেষে বালু ব্যবসায়ীদের ৫থেকে ৬টি বৃহত্তর বালুর ড্যাম্প গড়ে উঠেছে। এই ড্যাম্পের কারনে সড়কে জমে থাকে পানি। পানি জমে থাকায় কার্পেটিং করা সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে খানাখন্দে পরিনত হয়। তাছাড়া এসব বালু ড্যাম্প থেকে বালু নেয়ার জন্য ট্রাকগুলি দীর্ঘ সময় লাইন দিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় যার ফলে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। অপর দিকে প্রচুর পরিমান বালু সড়কের উপর পড়ে থাকে সারা বছর। এই বালু রোদের সময় উড়তে থাকে এবং বৃষ্টির সময় প্যাচপ্যাচে কাদায় পরিনত হয়ে রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটায়। একদিকে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক অন্যদিকে দূর্ঘটনা ঘটে অহরহ। এদিকে মংলা – নওয়াপাড়া নৌ বন্দর এবং বেনাপোল -ভোমড়া স্থল বন্দরে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পন্য এই সড়ক দিয়ে পরিবহনের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় প্রেরন করা হয়। বিশেষ করে নওয়াপাড়া থেকে বিভিন্ন প্রকার সরকারী ও বেসরকারী সার উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। চাষাবাদের এখন ভরা মৌসুম চলছে। সড়কের বেহাল দশার কারনে সরকারী সার সরবরাহ স্থাবির হয়ে আছে। ট্রাক চালকরা নওয়াপাড়া থেকে সারসহ সকল পন্য পরিবহনে অনিহা প্রকাশ করেছে । তাছাড়া এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রায় ১০টি জেলার মানুষ পরিবহনের মাধ্যমে চলাচল করে। সড়কের এমন বেহাল দশার করনে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা পরিবহন গুলো চুকনগর- মনিরামপুর হয়ে চলাচল করছে । যশোর- খুলনা মহাসড়কের এই দুরবস্থা দীর্ঘ বছরের হলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার অভিযোগ রয়েছে। বালুর ড্যাম্পের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, যশোরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন ,যে যখন ক্ষমতায় থাকে তারা ক্ষমতার জোরে এই কাজ গুলি করছে। তবে এদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
অরো জানতে অভয়নগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ প্রতিম শীলের সাথে কথা বল্লে তিনি জানান, আমি বিষরি গত কালই দেখে এসেছি । এদের বিরুদ্ধে আইনের মধ্যে থেকে যে পদক্ষেপ নেয়া দরকার তা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে নেওয়া হবে ।