অন্যান্য

বাঘায় জাল সনদ কেলেঙ্কারি: স্কুল কমিটির সভাপতি তফিকুল ইসলামকে অব্যাহতি, শিক্ষা বোর্ডের নোটিশ

  প্রতিনিধি 12 August 2025 , 12:09:10 প্রিন্ট সংস্করণ


রাজশাহীর বাঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি তফিকুল ইসলাম (তফি) জাল স্নাতক সনদ ব্যবহার করে পদে বসার অভিযোগে শিক্ষা বোর্ডের তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।গত ৭ আগস্ট রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড তাকে পদচ্যুতির নোটিশ জারি করে। বিদ্যালয়কে নতুন সভাপতির প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বাঘা উপজেলা প্রতিনিধি: 

রাজশাহীর বাঘায় জাল সনদের অভিযোগে বাঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ থেকে তফিকুল ইসলাম (তফি) কে বাতিল করেছে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মো: শামীম হাসান এর স্বাক্ষরিত এক পত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অভিযুক্ত তফিকুল ইসলাম (তফি) উপজেলার বাঘা পৌরসভার চক-আমদপুর গ্রামের বাসীন্দা ও একই পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জাল সনদপত্র দিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া নিয়ে এক ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের সভাপতি তফিকুল ইসলাম (তফি) ‘র বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়। এতে শিক্ষা বোর্ডে জমা দেওয়া অভিযুক্ত সভাপতি তফিকুল ইসলামের স্নাতক (ডিগ্রী) সনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তাকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার নোটিশ জারি করে শিক্ষা বোর্ড।

এদিকে, ৭ আগষ্ট রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মো: শামীম হাসান এর স্বাক্ষরিত এক পত্রে বাঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে পুনরায় সভাপতির নামের তালিকা জমা দিতে হলা হয়েছে।

পত্রে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলাধীন বাঘা উচ্চ বিদ্যালয় এর অনুমোদিত এডহক কমিটির সভাপতির তালিকায় ০১ নং ব্যক্তি মোঃ তফিকুল ইসলামের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত), রাজশাহী এর তদন্তে জাল প্রমানিত হওয়ায় সভাপতিকে বাতিল ঘোষণা করে উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতির নাম প্রস্তাব করে পুনরায় তালিকা অত্র বোর্ডে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হ’ল।

এ বিষয়ে বাঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী দেওয়ান বলেন, অফিসিয়ালি চিঠি এখনো পাইনি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি শুনছি।

বাঘা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ ফ ম হাসান বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। এরকম কোনো আদেশ আমি এখনো পায়নি।

আরও খবর

কুষ্টিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ওয়ারেন্ট ভুক্ত ৪ আসামী গ্রেফতার। 

তিস্তায় ভাঙ্গন আতংকে সুন্দরগঞ্জের নিম্নাঞ্চল

ভারতীয় কোস্টগার্ডের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৩

দেশবাসীর কাছে সহায়তা চেয়েছেন চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু পথযাত্রী কাঠমিস্ত্রী জামাল মিয়া

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন জাকারিয়া আল ফয়সাল, ব্যুরো প্রধান রাজশাহী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে । বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন, রাজশাহী জেলা কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন, রাজশাহী জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান। জেলার ১১ টি কলেজ থেকে আগত শিক্ষক নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। এসময় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, কোটা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে আবু সাঈদসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভূক্তির বিষয়ে জটিলতা দূরীকরণ, বিগত সময়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে গভর্নিং বডি গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে উপাচার্য রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, উপাচার্যের এ সকল সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগের প্রেক্ষিতে অধিভুক্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলো যখন সুফল পেতে শুরু করেছে, ঠিক সেই সময় একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যর্থ করার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হুমকি-ধামকি দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের কার্যক্রমকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা এ ধরনের হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন রাজশাহী জেলা শাখার পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে এ ঘটনায় যে বা যারাই জড়িত থাকুক, তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাচ্ছি। বক্তারা প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনা হলে রাজপথে বড় কর্মসূচি দেওয়ার হুশিয়ারী প্রদান করেন। মানববন্ধন শেষ রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি সানোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জালাল হোসেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, ওয়ালী মোহাম্মদ ওলী, মেহেদি হাসান, বিশ্বজিৎ কুমার, আসরাফুল আলম, দেলোয়ার হোসেন, নুরুল বাসার, তোতা মোল্লা, নাজমুল হক, এনামুল হক, রাকসানা খাতুন, অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ ১১ টি কলেজের শিক্ষকবৃন্দ।

জাপানে করোনা সংক্রমণের পাঁচ বছর পূর্তি, ১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

                   

জনপ্রিয় সংবাদ