প্রতিনিধি 18 August 2025 , 7:10:14 প্রিন্ট সংস্করণ
এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় কোটেশনের নামে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়াসহ নিজের পিতার নামে খোদ এলজিইডির ঠিকাদারি ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে। জানাযায় এলজিইডি’র রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী ও সেখানকার উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মিলে কোটেশনের নামে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় গাড়ি গ্যারেজ নির্মাণ, মেইন গেইট নির্মাণ, মেইনগেইট টু নির্মাণ, উপজেলা বিল্ডিং সংস্কার ও রং করা,উপজেলা ডিজিটাল সেন্টার সংস্কার, বাঘাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সংস্কার নির্মাণ, সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ সংস্কার নির্মাণ, রূপকারী ইউনিয়ন পরিষদ সংস্থার নির্মাণ, ও সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ সংস্কার নির্মাণে এলজিইডির কোটেশন ৩ ও কোটেশন নোটিশন ৪ এ ৬৮ লাখ, ৪৭ হাজার, ৮১৩ টাকার কাজ করা হয়। যেখানে কোন টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় নাই, এমনকি সরকারি বিধি মোতাবেক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কোটেশন করা যাই। যা বাঘাইছড়ি উপজেলায় অমান্য করা হয়েছে এবং কোটেশন নোটিশ ২ গোপন করা হয়েছে বলে উক্ত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, উক্ত কাজগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে হলে সিডিউল বিক্রয় হত যা থেকে সরকার লাখ-লাখ টাকা রাজস্ব পাইত। উক্ত অভিযোগে আরও বলা হয়, এলজিডির সাবেক নৈশপ্রহরী আবুল কালাম কিছু ভুয়া ঠিকাদারের নাম ঠিকানা জোগাড় করে দেন যাদেরকে কাজ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে বাগাইছড়ি এলজিইড’র উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে কাজের সত্যতা জানতে চাইলে তিনি ‘দৈনিক সকালের সময়’কে বলেন, আমরা টেন্ডার দেই নাই, তবে কোটেশনের মাধ্যমে কাজ করেছি।তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পছন্দের ঠিকাদারকে দিয়ে এ কাজগুলো করা হয়েছে । টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে এ কাজে আমরা কোন টেন্ডার করি নাই।
আবার কুমিল্লা বরুড়ার সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের পিতা এলজিইডি’র ঠিকাদার এবং মেহেদী হাসান বর্তমানে রাঙ্গামাটি উপজেলাতে আছেন। সে বরুড়া উপজেলাতে থাকাবস্থায় তার পিতার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে একটি বরাদ্দ থেকে কয়েক লাখ টাকার অনিয়ম পাওয়া যায়।কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের পিতার নামে ঠিকাদারী লাইসেন্স আছে কিনা এবং তার বিরুদ্ধে অনিয়মের সত্যতা জানতে মেহেদী হাসানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ‘দৈনিক সকালে সময়’কে বলেন,আশা করি আপনি এমন কিছু করবেন না। আর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলার চেয়ারম্যান মিলে আমার বাবাকে কিছু কাজ দিয়েছিল। সত্যতা স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, লোকাল কিছু ফান্ড দেখাতে হয় এবং স্থানীয় রাজনীতির একটি বিষয় থাকে। যে কারনে আমার বাবাকে বরুড়া উপজেলার এলজিইডির অফিস এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের রুমের কিছু কাজ করতে দেয়া হয়।