প্রতিনিধি 26 August 2025 , 1:32:40 প্রিন্ট সংস্করণ
রিপন হোসেন সাজু, মনিরামপুর (যশোর)
মনিরামপুরের কুলটিয়া-নওয়াপাড়া সড়কের ৮ কি.মি. রাস্তার ৫ কি.মি. রাস্তা যানবাহন চলাচলের সম্পূূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলার কুলটিয়া, নেহালপুর, মনোহরপুর, দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নসহ এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধাজনক একমাত্র কুলটিয়া-নওয়াপাড়া সড়কটিতে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহন চলাচল করছে। রাস্তায় কোথাও কোথাও পিচের কার্পেটিং নেই, কোথাও ইটের সলিং, কোথাও রাস্তাটি দেখে বোঝার উপায় নেই এটি পাকা নাকি কাঁচা রাস্তা। সড়কটির বিভিন্ন অংশে পিচ ও খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বর্ষা হলে রাস্তার খানা-খন্দোগুলো পানিতে ভরে যায়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষসহ যানবাহন চলাচল করছে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে। ছোটখাট দূর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। হাসপাতালগামী রোগী, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এর উপর বিষ ফোঁড়ার মতো যোগ হয়েছে ভবদহের জলাবদ্ধতা। মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মনিরামপুরের কুলটিয়া-মশিয়াহাটি থেকে অভয়নগরের সরখোলা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য মৎস্য ঘের তৈরি হয়েছে। সড়কটি বেশ কয়েক বছর ধরে মৎস্য ঘেরের ভেড়িবাঁধ হিসাবে ব্যবহার করছে ঘের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তারাও বিশেষ কোন সংস্কারের উদ্যোগ নেয় না। মশিয়াহাটী সরখোলা ইজি বাইক মালিক সমিতির উদ্যোগে বালি ও ইটের খোঁয়া দিয়ে রাস্তা কিছুটা মেরামত করলেও তেমন কোন উন্নতি হয়নি। বরং বালু ভর্তি ভারী ট্রাক চলাচলের কারণে সেই মেরামতও কোন কাজে আসছে না বলে জানিয়েছে মশিয়াহাটী সরখোলা ইজি বাইক মালিক সমিতি। সমিতির সভাপতি মোঃ হাসান সরদার জানান, সরকারী কোন উদ্যোগ তো নেই আবার সমিতির সামান্য অর্থায়নে মেরামতের চেষ্টা করেও কোন ফল হয়নি। তিনি বলেন, একদিকে সড়কটির দুইপাশে পানি থৈ থৈ করছে, অন্যদিকে বালুভর্তি ভারী ট্রাক চলাচল থেমে নেই। যার কারণে রাস্তাটি আরও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আর সামান্য বৃষ্টি হলেই একেবারে বন্ধ হয়ে যেতে পারে সড়কটি। ওই ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। তাদের আরও অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করা হলে কোন ফল না আসায় মারাত্মক ভোগান্তিতে রয়েছে এলাকাবাসী। এলাকার বেশ কয়েকজন সূধীজনের সাথে আলাপকালে তারা জানান, যদি এই সড়কটি দ্রæত সংস্কার করা সম্ভব না হয় তবে শিল্পশহর নওয়াপাড়ার সাথে ওই ৪ ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিছিন্ন হয়ে যাবে। যার ফলে ওই এলাকার শতশত খেটে খাওয়া মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে।