প্রতিনিধি 27 August 2025 , 2:21:08 প্রিন্ট সংস্করণ
মিথিলার অর্জন, সৃজিত মুখার্জির শুভেচ্ছা
অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার জীবনে এবার সাফল্যের আরেকটি পালক যোগ হয়েছে। শিক্ষাজীবনে নিজেকে এগিয়ে নিয়েছেন আরও এক ধাপ। অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। গতকাল সোমবার গভীর রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মিথিলা তাঁর এ অর্জনের খবর ভাগাভাগি করেন। এ সাফল্যে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন তিনি। মিথিলাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সৃজিত মুখার্জিও।ইউনিভার্সিটি অব জেনেভা থেকে আর্লি চাইল্ডহুড এডুকেশন নিয়ে মিথিলা পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো বিষয়টি নিয়ে ভালো লাগার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন সৃজিত মুখার্জি। মিথিলার পোস্ট শেয়ার করে সৃজিত লিখেছেন, ‘অবিশ্বাস্য সাফল্য, অভিনন্দন!’ সৃজিতের শেয়ার পোস্টে মিথিলাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনেকেই।
তাহসানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর ২০১৯ সালে সৃজিতকে বিয়ে করেন মিথিলা। এরপর মেয়ে আইরাকে নিয়ে কলকাতায় সংসারজীবন শুরু হয় মিথিলার। আইরাকে পিতৃস্নেহে আপন করে নেন সৃজিত। কয়েক মাস ধরে মেয়ে আইরাকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করছেন মিথিলা। এরপর তিনজনকে আর একসঙ্গে দেখা যায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়ায়, তাঁদের দুজনের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন তাঁরা। তবে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের কোনো বিষয়ে কখনোই কথা বলতে চাননি মিথিলা-সৃজিত।তবে এক সাক্ষাৎকারে আইরাকে নিয়ে কলকাতা ছাড়ার বিষয়ে কথা বলেন মিথিলা। তিনি বলেন, ‘আফ্রিকায় একটা কথা আছে, একটা বাচ্চাকে বড় করতে পুরো গ্রামের প্রয়োজন। এটাই সত্যি। কর্মরত মা আমি। আইরা এখন অনেকটাই ছোট। তাই সন্তানের যত্নের জন্য প্রয়োজন পড়ে নানা-নানিদের, বন্ধুদের। আর সেটা রয়েছে বাংলাদেশেই।’
কাছের মানুষ ও বন্ধুদের অনেকে জানেন, শিক্ষার্থী হিসেবে মিথিলা মেধাবী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে দ্বিতীয় মাস্টার্স ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পন্ন করেন। সেখানে সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৪ পেয়ে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল অর্জন করেছেন এই তারকা। ২০১৪-১৬ স্নাতকোত্তর শিক্ষাবর্ষে সব বিভাগের মধ্যে একমাত্র মিথিলাই সর্বোচ্চ এই সিজিপিএ পেয়েছেন। এরপরও থেমে থাকেননি। অভিনয়, সন্তানকে গড়ে তোলা, সংসার সামলানো এবং ব্র্যাকের ফুলটাইম চাকরির পাশাপাশি তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পথে হাঁটেন ইউনিভার্সিটি অব জেনেভায়। মিথিলার পিএইচডি ডিগ্রির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৫ বছর সময় লেগেছে।