অন্যান্য

হাজার কোটি টাকায় ভবন কিনছে ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংক

  প্রতিনিধি 28 August 2025 , 4:05:47 প্রিন্ট সংস্করণ

হাজার কোটি টাকায় ভবন কিনছে ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংক
রাজধানীর মতিঝিলে হাজার কোটি টাকায় বাণিজ্যিক ভবন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি খাতের ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এই ব্যাংক আজ বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের এই তথ্য জানিয়েছে।
ডিএসইতে দেওয়া ব্যাংকটির ঘোষণা অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় ১ হাজার ১৬ কোটি টাকায় সাড়ে ২১ তলাবিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবন কেনার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ব্যাংকের পর্ষদ সভায় নেওয়া এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের পর। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের বিনিয়োগ বা কেনাকাটার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ব্যাংকটি জানিয়েছে, তারা যে ভবনটি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটির মোট আয়তন ২ লাখ ৭ হাজার ৩৪০ বর্গফুট। এর মধ্যে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩০০ বর্গফুট মেঝের জায়গা এবং ৩১ হাজার ৪০ বর্গফুট বেজমেন্ট।
ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক জানিয়েছে, যে ভবনটি তারা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেখানে ব্যাংকটির করপোরেট কার্যালয় বা প্রধান কার্যালয় হবে। জানা গেছে, ৪৭ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার যে ভবন ব্যাংকটি কিনতে চাচ্ছে, বর্তমানে সেই ভবনে ভাড়ায় পরিচালিত হচ্ছে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের কার্যক্রম। দীর্ঘদিন ধরে যে ভবনে ব্যাংকটি ভাড়ায় রয়েছে, সেটিই এখন কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঢাকার শেয়ারবাজারে আজ ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৪১ টাকা ৫০ পয়সা। এদিন ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ৪০ পয়সা বা ১ শতাংশের মতো কমেছে। গত বছর ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক ৪৭৩ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির মুনাফার পরিমাণ ছিল ৮০২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত বছর ব্যাংকটির মুনাফা আগের বছরের চেয়ে ৩২৯ কোটি টাকা বা ৪১ শতাংশ কমেছে। গত বছরের জন্য ব্যাংকটি শেয়ারধারীদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে, যার মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। এর মধ্যে ঘোষিত এই লভ্যাংশ শেয়ারধারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ব্যাংকটি ভাড়া, কর, বিমা ও বিদ্যুৎ বিল বাবদ খরচ করেছে প্রায় ২৪৫ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে এই খাতে ব্যাংকটির খরচ হয়েছিল ২৩৬ কোটি টাকা। যার বড় অংশই ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ দেশজুড়ে শাখা, উপশাখার ভাড়া বাবদ ব্যয় হয়। এক বছরের ব্যবধানে ভাড়া, কর, বিমা ও বিদ্যুৎ বিল খাতে ব্যাংকটির খরচ বেড়েছে ৯ কোটি টাকা।
গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে যার পরিমাণ ছিল ৪৭ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরে ব্যাংকটির আমানত বেড়েছে ৪ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা। আর গত বছর শেষে ব্যাংকটির ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির ঋণের পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার ২০৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরে ব্যাংকটির ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা।

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ