
মোঃ ইকরামুল হাসান ক্রাইম রিপোর্টার মাগুরা
মাদ্রাসার ছাত্রকে গরম খুন্তা দিয়ে ছ্যাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে! বিষয়টি নিয়ে বৃহঃপতিবার রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে ও শোস্যাল মিডিয়াতে ঝড় তুলতে শুরু হয়।
এঘটনা ঘটেছে,
মাগুরা শ্রিপুরে মাদ্রাসায় সুপারের খাবার আনতে দেরি হওয়ায় জুনায়েদ হোসেন (১২) নামে এক শিক্ষার্থীকে গরম খুন্তার ছ্যাকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী মাগুরা শহরের আদর্শপাড়ার ভাড়া বাড়ির বাসিন্দা সুজন মিয়ার ছেলে।
ঘটনাটি বুধবার রাতে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল-কমলাপুর দারুল উলুম ইসলামি মাদরাসার।
শিশুটির উপর নির্যাতনের ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি বরং কাউকে কিছু না জানানোর জন্য ভয় দেখিয়ে মাদরাসায় আটকে রাখা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে পালিয়ে বাড়ি ফিরে আসলে জুনায়েদের বাবা সুজন মিয়া বিকেলে নাকোল পুলিশ ফাঁড়িতে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
শিশুটির বাবা সুজন মিয়া জানান, চার বছর আগে ছেলেকে হাফেজ বানানোর উদ্দেশ্যে ওই মাদরাসায় ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানে তুচ্ছ ঘটনায়ও মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবু সাইদের নির্যাতনের শিকার হতে হতো ছেলেকে। এদিকে বুধবার রাতে সুপারের খাবার আনতে জুনায়েদকে মাদ্রাসার পাশে একটি বাড়িতে পাঠানো হয়। সেখানে গৃহস্থের খাবার প্রস্তুতে দেরি হওয়ায় জুনায়েদের ফিরতেও বিলম্ব হয়। কিন্তু এ জন্য জুনায়েদকে অপরাধি করে নির্যাতন করা হয়।
শিশু জুনায়েদ জানায়,
রাত ৯ টার দিকে খাবার নিয়ে মাদ্রাসায় ফিরলেও সুপার ঘনিষ্ট দুই ছাত্র ওয়ালিদ ও সিজান তার হাত বেঁধে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে পরনের কাপড় খুলে ফেলে। এরপর মোমবাতির আগুনে স্টিলের খুন্তা গরম করে শরীরে ছ্যাকা দেয়। আর এ বিষয়টি প্রকাশ করলে আরও মারধরের হুমকিও দেওয়া হয় তাকে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবু সাইদ এ ঘটনার সাথে নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, রাতে তাদেরকে মাদ্রাসায় তালা দিয়ে নিজ ঘরে যাই। কিন্তু কখন এটি ঘটেছে জানা নেই।
নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুকুল হোসেন জানান, শিশুটির বাবার অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।