অন্যান্য

বড়লেখায় সংখ্যালঘুর বাড়িতে আগুন ‘ট্রাক ছায়

  প্রতিনিধি 13 October 2024 , 2:54:49 প্রিন্ট সংস্করণ

অজিত দাস, বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় পূর্ব-দক্ষিণভাগ গ্রামের বাসিন্দা এলজিইডি ঠিকাদার ও দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কুমার দাসের মালিকানাধীন ট্রাক পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১২ অক্টোবর) ভোর রাতে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনাটি ঘটেছে।

এসময় ট্রাকের গ্যারেজ থেকে বসতঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী চেষ্টা চালিয়ে তা দ্রুত নিভিয়ে ফেলেন। এতে রক্ষা পায় ঠিকাদার সঞ্জিত দাসের বসতঘর। তবে, ট্রাক পুড়ে অন্তত ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করছেন।

ঠিকাদার ও আওয়ামী লীগ নেতা সঞ্জিত কুমার দাস অভিযোগ করেন, শনিবার ভোর রাতে দুর্বৃত্তরা বসতঘর সংলগ্ন গ্যারেজে থাকা তার ট্রাকগাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গাড়িটিসহ গ্যারেজ সম্পূর্ণ ভস্মিভুত হয়ে যায়। গ্যারেজের আগুন বসতঘরের দিকে ধাবিত হলে স্বজন ও প্রতিবেশিরা মিলে তা নিভিয়ে ফেলেন। এতে বসতঘরটি রক্ষা পায়। ট্রাক পুড়ে তার অন্তত ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর পূর্বে গত ১০ আগষ্ট অজ্ঞাত চোরেরা রাতের আঁধারে গাড়ির গ্যারেজ থেকে ৪০০ কেজি রড নিয়ে গেছে। গত ৮ অক্টোবর রাতে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ৬০/৭০ হাজার টাকার মাছ মেরে ফেলেছে। গত ১০ অক্টোবর বসতঘরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে। এসব ব্যাপারে শনিবার বিকেলে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

বড়লেখা ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মোল্লা শামীম আহমদ জানান, বসতঘরে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে শনিবার ভোরে দমকল বাহিনী নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হন। কিন্তু, কাছাকাছি পৌঁছামাত্র ভুক্তভোগীর (ঠিকাদার সঞ্জিত দাস) পক্ষ থেকে জানানো হয় আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে, তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এরপর তারা ফিরে যান। গ্যারেজে ট্রাক পুড়ার তথ্য তিনি দেননি।

বড়লেখা থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম জানান, ঠিকাদার সনজিত দাসের বাড়িতে দুর্বৃত্তের অগ্নিসংযোগের বা ট্রাক পুড়ে যাওয়া ও রড চুরির ঘটনা পুলিশকে জানিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ

পেঁপে গাছের চারা দ্রুত বৃদ্ধি এবং সঠিকভাবে বৃদ্ধির জন্য নিচে উল্লেখিত সার এবং কীটনাশকের ব্যবহার এবং যত্নের পরামর্শ

শ্যামনগরের নবাগত ইউএনও’র সাথে সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ 

চরমোনাই থেকে পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় শোভাযাত্রা

একটা কিনলে অন্যটা কেনার টাকা থাকে না ঝিনাইদহ প্রতিনিধি চার সদস্যের পরিবার নিয়ে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ঋষিপাড়ায় থাকেন ফজলুল রহমান। ভ্যান চালিয়ে দিনে আয় করেন ২৫০-৩০০ টাকা। এর অর্ধেক চলে যায় কিস্তি দিতে। বাকি টাকায় দৈনন্দিন সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে ফজলুর হরিণাকুণ্ডুর একটি দোকানে ডিম কিনতে এসেছিলেন। দাম শুনেই তিনি হতবাক। প্রতি হালি ডিমের দাম চাওয়া হচ্ছে ৫৬ টাকা। ফজলুর লোকমুখে শুনেছেন, সরকার ডিমের দাম কমিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দাম এত বেশি কেন? জিজ্ঞেস করতেই দোকানি বলেন, ‘নিলে নেন, না হলে অন্যখানে যান।’ পকেটের অবস্থা ভালো ছিল না ফজলুরের। বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। এর আগে গিয়েছিলেন স্থানীয় কাঁচাবাজারে। শাকসবজিসহ সব পণ্যের অস্বাভাবিক দামে হতাশা ঘিরে ধরে তাঁকে। আয়ের সঙ্গে খরচের হিসাব মেলাতে পারছিলেন না। ফজলুর রহমান বলেন, ১৫ দিন আগেও প্রতি পিস ডিমের দাম ছিল ১২ টাকা। এখন সেটার দাম কোথাও ১৩ টাকা ৫০ পয়সা আবার কোথাও ১৪ টাকা। হালিতে এই ১৫ দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ৬-৮ টাকা। শাকসবজি, মাছ, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ সবকিছুর দামই বেড়েছে। এভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকলে সীমিত আয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। ২৫০-৩০০ টাকা আয়ের মধ্যে ঋণ নিয়ে কেনা ভ্যানের কিস্তির জন্য দিতে হয় ১৫০ টাকা। বাকি ১০০-১৫০ টাকায় চাল, ডাল, তেল আর তরিতরকারি কেনা যায় না। একটা কিনলে অন্যটা কেনার টাকা থাকে না। কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন সাগর হোসেন। তিনি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত। হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার শুড়া এলাকায় থাকেন স্ত্রী, দুই সন্তান ও মা-বাবা নিয়ে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ছয় সদস্যের সংসারে খরচ চালাতে হিমশিম অবস্থা তাঁর। সাগর বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সবকিছুর দাম বেড়েছে। কোনো কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি। ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে ১৫ অক্টোবর সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ১৯ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সা প্রতি পিসের ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়। বুধবার থেকে এ দামে ডিম বিক্রির কথা থাকলেও বাজারের চিত্র ভিন্ন। একেক জায়গায় একেক রকম দাম নেওয়া হচ্ছ। উপজেলা শহরের কোথাও ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা, কোথাও ১৩ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের বাজারে ১৪ টাকা করে। লাগামহীন ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দামও। বাজারভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা কেজি। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ২৮০-৩২০ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা। লাউ পিস ৫০-৬০ টাকা, আলুর ৬০ টাকা কেজি। ৩০ টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। ৪০ টাকার কাঁচাকলা ৬০ টাকা। ৪০ টাকার শসা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহের চেয়ে এদিন ঢ্যাঁড়শের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকায়। প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা থেকে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা। বেগুন বিক্রি হতে দেখা গেছে ১৩০-১৫০ টাকায়। ৫০ টাকার নিচে বাজারে সবজি মিলছে না। ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। কাঁচাবাজারের বিক্রেতা খাইরুল ইসলামের ভাষ্য, কয়েকদিন আগে টানা বৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া অনেক এলাকায় বন্যা হচ্ছে। মানুষের সবজি ও কাঁচামালের ক্ষতি হয়েছে। এতে সরবরাহ কম। তাই সব কিছুর দাম বেড়েছে। দাম কমাতে হলে আগে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানান পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, আড়ত থেকে কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করেন। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মোড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে আশরাফুল ইসলামের। তাঁর দাবি, খামারির কাছ থেকেই প্রতি পিস ডিম কিনতে হয় ১৩ টাকা ২০ পয়সায়। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ রয়েছে। খুচরায় বিক্রি করছেন ১৩ টাকা ৩৩ পয়সায়। আনার সময় অনেক ডিম ভেঙে যায়। ফলে লাভ থাকে না। শুধু ক্রেতা ধরে রাখতেই ডিম বিক্রি করছেন। উৎপাদক ও পাইকার পর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ডিম বা ব্রয়লার মুরগির দাম খুচরা বাজারে কমবে না বলে মনে করেন তিনি। মাছের বাজারেও একই অবস্থা। এদিন সকালে হরিণাকুণ্ডু শহরের দৈনিক বাজারে প্রতি কেজি রুই ও কাতলা প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ২৫০-৩৫০ টাকায়। পাঙাশ ও তেলাপিয়ার দর ১৫০-২৫০ টাকা; চ্যাঙ ও দেশি পুঁটি বিক্রি হয় ৩২০-৫০০ টাকায়। মাছ বিক্রেতা জয়নাল মিয়ার ভাষ্য, আড়তে তেমন মাছ আসছে না। অল্প পরিমাণে যা আসছে, অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আড়তদার কামাল উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আড়তে মাছ আসে। কিছু এলাকায় বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে প্রচুর ঘের-পুকুর তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া প্রচুর মাছ মারাও গেছে। ফলে সরবরাহ কমেছে, তাই দাম বেশি। ঝিনাইদহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, এই এলাকায় খামারি নেই। ব্যবসায়ীরা পাবনা বা অন্য এলাকা থেকে বেশি দামে ডিম কিনেন। ফলে সরকারের বেঁধে দেওয়া দর নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবুও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ডিমসহ সব নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি চলছে জানিয়ে ইউএনও আক্তার হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

খাগড়াছড়িতে আন্তর্জাতিক   বন দিবসে আলোচনা সভা

কলাপাড়ায় মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজী ও হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন