প্রতিনিধি 4 September 2025 , 2:36:43 প্রিন্ট সংস্করণ
জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে কিশোর আবদুল্লাহ সিদ্দিক হত্যা মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা শ্রমিক লীগের নেতা আবদুল হালিম শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে মিরপুর ২ নম্বর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ধানমন্ডি থানা শ্রমিক লীগের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি। এ নিয়ে এই হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
আজ বৃহস্পতিবার সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের আগের দিন গত বছরের ৪ আগস্ট ধানমন্ডি লেকপাড়ে পাতাম রেস্তোরাঁর সামনে গণ–অভ্যুত্থানের সময় গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আন্দোলনকারী কিশোর আবদুল্লাহ সিদ্দিক লুটিয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আবদুল্লাহ সিদ্দিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার মরদেহ গুমের চেষ্টা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ড ও মৃতদেহ গুমের চেষ্টার ঘটনায় আন্দোলনের সমন্বয়ক ফাইয়াজ আহমেদ রাতুল আদালতে অভিযোগ করলে আদালতের নির্দেশে ধানমন্ডি থানায় মামলা করা হয়। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ বিভাগ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার আবদুল হালিম শেখকে আদালতে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলার রহস্য উদ্ঘাটন এবং অন্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের স্বার্থে সিআইডি ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হালিম শেখ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেন। তদন্তে জানা গেছে, তিনি আন্দোলন দমন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং কিশোর আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
এর আগে সিআইডি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, গত ১৫ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এস এম কামাল হায়দার এবং ১৭ জুন মো. খোরশেদ আলমকে (৪৮) গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গত ২৫ আগস্ট তাপসের আরেক সহযোগী মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বেশ প্রভাবশালী ছিলেন।