অন্যান্য

ভবদহের স্থায়ী সমাধানের দাবিতে বিএনপি’র ২৬ অক্টোবর লংমার্চ

  প্রতিনিধি 16 October 2024 , 3:19:43 প্রিন্ট সংস্করণ

প্রতিনিধি মণিরামপুর :

দক্ষিণবঙ্গের ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে মণিরামপুরে বিএনপি’র উদ্যোগে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আগামি ২৬ অক্টোবর ভবদহ অভিমুখে এ লংমার্চ ও গণসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন।

মণিরামপুর উপজেলার বন্যা কবলিত প্রায় ৯ ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মনোহরপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি, ইউপি চেয়ারম্যান আকতার ফারুক মিন্টু।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন। বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপি’র সভাপতি খায়রুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মফিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মকবুল ইসলাম, খান শফিয়ার রহমান, নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, হরিদাস মল্লিক, কুলটিয়ার সভাপতি নাজমুল কহ লিটন, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, হরিদাসকাটির যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
২৬ অক্টোবর মণিরামপুর থেকে ভবদহ অভিমুখে লংমার্চ ও গণ সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আকতার ফারুক মিন্টুকে আহ্বায়ক করে ১৩ সদস্যের প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়

প্রতিনিধি মণিরামপুর :
দক্ষিণবঙ্গের ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে মণিরামপুরে বিএনপি’র উদ্যোগে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আগামি ২৬ অক্টোবর ভবদহ অভিমুখে এ লংমার্চ ও গণসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন।

মণিরামপুর উপজেলার বন্যা কবলিত প্রায় ৯ ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মনোহরপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি, ইউপি চেয়ারম্যান আকতার ফারুক মিন্টু।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন। বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপি’র সভাপতি খায়রুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মফিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মকবুল ইসলাম, খান শফিয়ার রহমান, নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, হরিদাস মল্লিক, কুলটিয়ার সভাপতি নাজমুল কহ লিটন, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, হরিদাসকাটির যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
২৬ অক্টোবর মণিরামপুর থেকে ভবদহ অভিমুখে লংমার্চ ও গণ সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আকতার ফারুক মিন্টুকে আহ্বায়ক করে ১৩ সদস্যের প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ

লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার রিয়াজুল করিম,মানবিক সহায়তা কামনা।

একটা কিনলে অন্যটা কেনার টাকা থাকে না ঝিনাইদহ প্রতিনিধি চার সদস্যের পরিবার নিয়ে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ঋষিপাড়ায় থাকেন ফজলুল রহমান। ভ্যান চালিয়ে দিনে আয় করেন ২৫০-৩০০ টাকা। এর অর্ধেক চলে যায় কিস্তি দিতে। বাকি টাকায় দৈনন্দিন সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে ফজলুর হরিণাকুণ্ডুর একটি দোকানে ডিম কিনতে এসেছিলেন। দাম শুনেই তিনি হতবাক। প্রতি হালি ডিমের দাম চাওয়া হচ্ছে ৫৬ টাকা। ফজলুর লোকমুখে শুনেছেন, সরকার ডিমের দাম কমিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দাম এত বেশি কেন? জিজ্ঞেস করতেই দোকানি বলেন, ‘নিলে নেন, না হলে অন্যখানে যান।’ পকেটের অবস্থা ভালো ছিল না ফজলুরের। বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। এর আগে গিয়েছিলেন স্থানীয় কাঁচাবাজারে। শাকসবজিসহ সব পণ্যের অস্বাভাবিক দামে হতাশা ঘিরে ধরে তাঁকে। আয়ের সঙ্গে খরচের হিসাব মেলাতে পারছিলেন না। ফজলুর রহমান বলেন, ১৫ দিন আগেও প্রতি পিস ডিমের দাম ছিল ১২ টাকা। এখন সেটার দাম কোথাও ১৩ টাকা ৫০ পয়সা আবার কোথাও ১৪ টাকা। হালিতে এই ১৫ দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ৬-৮ টাকা। শাকসবজি, মাছ, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ সবকিছুর দামই বেড়েছে। এভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকলে সীমিত আয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। ২৫০-৩০০ টাকা আয়ের মধ্যে ঋণ নিয়ে কেনা ভ্যানের কিস্তির জন্য দিতে হয় ১৫০ টাকা। বাকি ১০০-১৫০ টাকায় চাল, ডাল, তেল আর তরিতরকারি কেনা যায় না। একটা কিনলে অন্যটা কেনার টাকা থাকে না। কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন সাগর হোসেন। তিনি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত। হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার শুড়া এলাকায় থাকেন স্ত্রী, দুই সন্তান ও মা-বাবা নিয়ে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ছয় সদস্যের সংসারে খরচ চালাতে হিমশিম অবস্থা তাঁর। সাগর বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সবকিছুর দাম বেড়েছে। কোনো কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি। ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে ১৫ অক্টোবর সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ১৯ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সা প্রতি পিসের ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়। বুধবার থেকে এ দামে ডিম বিক্রির কথা থাকলেও বাজারের চিত্র ভিন্ন। একেক জায়গায় একেক রকম দাম নেওয়া হচ্ছ। উপজেলা শহরের কোথাও ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা, কোথাও ১৩ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের বাজারে ১৪ টাকা করে। লাগামহীন ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দামও। বাজারভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা কেজি। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ২৮০-৩২০ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা। লাউ পিস ৫০-৬০ টাকা, আলুর ৬০ টাকা কেজি। ৩০ টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। ৪০ টাকার কাঁচাকলা ৬০ টাকা। ৪০ টাকার শসা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহের চেয়ে এদিন ঢ্যাঁড়শের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকায়। প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা থেকে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা। বেগুন বিক্রি হতে দেখা গেছে ১৩০-১৫০ টাকায়। ৫০ টাকার নিচে বাজারে সবজি মিলছে না। ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। কাঁচাবাজারের বিক্রেতা খাইরুল ইসলামের ভাষ্য, কয়েকদিন আগে টানা বৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া অনেক এলাকায় বন্যা হচ্ছে। মানুষের সবজি ও কাঁচামালের ক্ষতি হয়েছে। এতে সরবরাহ কম। তাই সব কিছুর দাম বেড়েছে। দাম কমাতে হলে আগে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানান পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, আড়ত থেকে কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করেন। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মোড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে আশরাফুল ইসলামের। তাঁর দাবি, খামারির কাছ থেকেই প্রতি পিস ডিম কিনতে হয় ১৩ টাকা ২০ পয়সায়। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ রয়েছে। খুচরায় বিক্রি করছেন ১৩ টাকা ৩৩ পয়সায়। আনার সময় অনেক ডিম ভেঙে যায়। ফলে লাভ থাকে না। শুধু ক্রেতা ধরে রাখতেই ডিম বিক্রি করছেন। উৎপাদক ও পাইকার পর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ডিম বা ব্রয়লার মুরগির দাম খুচরা বাজারে কমবে না বলে মনে করেন তিনি। মাছের বাজারেও একই অবস্থা। এদিন সকালে হরিণাকুণ্ডু শহরের দৈনিক বাজারে প্রতি কেজি রুই ও কাতলা প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ২৫০-৩৫০ টাকায়। পাঙাশ ও তেলাপিয়ার দর ১৫০-২৫০ টাকা; চ্যাঙ ও দেশি পুঁটি বিক্রি হয় ৩২০-৫০০ টাকায়। মাছ বিক্রেতা জয়নাল মিয়ার ভাষ্য, আড়তে তেমন মাছ আসছে না। অল্প পরিমাণে যা আসছে, অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আড়তদার কামাল উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আড়তে মাছ আসে। কিছু এলাকায় বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে প্রচুর ঘের-পুকুর তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া প্রচুর মাছ মারাও গেছে। ফলে সরবরাহ কমেছে, তাই দাম বেশি। ঝিনাইদহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, এই এলাকায় খামারি নেই। ব্যবসায়ীরা পাবনা বা অন্য এলাকা থেকে বেশি দামে ডিম কিনেন। ফলে সরকারের বেঁধে দেওয়া দর নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবুও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ডিমসহ সব নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি চলছে জানিয়ে ইউএনও আক্তার হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নির্বাসনেও সক্রিয় পলাতক আওয়ামী লীগ নেতারা, ঘাঁটি গেড়েছেন নিউ টাউনে

হলান্ড নাকি এমবাপ্পে, রোনালদোর গোলের রেকর্ড ভাঙবেন কে

দুর্গাপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার মুন্সির শেষ বিদায়

বাউফলে সুজন হত্যার বিচারের দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধন