অন্যান্য

আমতলীতে চড়া দামে সবজিসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পন্যর দামে নাভিশ্বাস উপজেলাবাসীর

  প্রতিনিধি 20 October 2024 , 4:37:14 প্রিন্ট সংস্করণ

নূরুল হক লিটনঃ

বরগুনার আমতলীতে কাঁচাবাজারে উত্তাপ সকল দ্রব্যমুল্যে মনে হয় আগুন লেঘেছে। সবজির অতি চড়া দরে স্বস্তির বদলে কাঁচা বাজারে নাভিশ্বাস উঠেছে উপজেলাবাসীর ।
রবিবার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে বেগুন প্রতিকেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, দেশি গাজর ১১০ টাকা, বরবটি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, ফুলকপি মানভেদে ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা, বাঁধাকপি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মূলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা ও শিম ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর টমেটোর কেজি ১৬০ থেকে ২২০ টাকা। এর মধ্যে শিম, টমেটো, ফুলকপির দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকার মতো কমেছে। বেগুনের দাম বেড়েছে কেজিতে অন্তত ১০ টাকা।
এ ছাড়া বাজারে মিষ্টিকুমড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, আলু ৪৫ থেকে ৬০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ধুন্দুল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
শাকের মধ্যে লালশাকের আঁটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পুঁইশাক ৫০ টাকা , লাউশাক ৫০ টাকা, ডাঁটাশাক ২০ টাকা, কলার মোচা প্রতি পিস ৬০ টাকা, কচুশাক ২৫ টাকা, কলমি শাক ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারে কমদামি মাছ হিসেবে পরিচিত পাঙ্গাস এবং তেলাপিয়াও বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২২০ টাকায়। তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২২০ টাকা, রুই ২৫০থেকে ৩০০টাকা,এছাড়া,চিংড়ি আকারভেদে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা,গলদা চিংড়ি ছোট ১০০০, মাঝারি ১২০০ এবং বড় ১৫০০ টাকা। চাষের কই মাছ ২৮০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, কাতাল মাছ ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা, আইড় মাছ ৮০০ টাকা এবং শিং মাছ কেজিপ্রতি ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজাওে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১০টাকা বেড়ে ২০০টাকা,সোনালী মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতিকেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৫৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মুদির দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপন্য ছোট মসুরের ডাল ১৩৫ টাকা,মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা,বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১১০টাকা,ছোলা ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৩৫ টাকা, খোলা চিনি ১৪০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১১৫ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া মুরগির ডিম ডজন প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়।এছাড়া হাঁসের ডিম ডজনপ্রতি ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
হাসান নামে এক ক্রেতা বলেন, আমরা মধ্যম আয়ের মানুষ। বাজার করতে আসলে আমাদের অবস্থা বোঝা যায়। বাজারে ৮০/১০০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই। অতি চড়া দরে সবজি বিক্রি হচ্ছে। দাম কমার লক্ষ্য নেই, বরং বাড়ছে সবকিছু।
খুচরা ব্যবসায়ী, আড়তদার, পাইকারি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা যে ভাবে ক্রয় করে সেভাবে বিক্রি করে ।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, যেসব ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে পন্যবিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কঠোরআইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ