অন্যান্য

বরিশালে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের লাঠি মিছিল

  প্রতিনিধি 23 October 2024 , 6:44:30 প্রিন্ট সংস্করণ

জামাল কাড়াল

বরিশাল ব্যুরো।

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বরিশালে লাঠি মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় নগরীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশালের ব্যানারে মিছিলটি বের হয়।মিছিলের পূর্বে নগরীর সদর রোডস্থ অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা রাষ্ট্রপতি ও ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে নানা স্লোগান দেয়।মিছিল শুরুর আগে শিক্ষার্থীরা বলেন, এ দেশে আর কোন ফ্যাসিস্ট সরকারকে জায়গা দেওয়া হবে না। আর রাষ্ট্রপতি যে কথা বলেছেন তা ছাত্রজনতার আন্দোলনে মুখে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারকে মদদ দেওয়ার শামিল। আমরা রাষ্ট্রপতির অনতিবিলম্বে পদত্যাগ চাই। নয়তো ছাত্রজনতা মিলে রাষ্ট্রপতির বাসভবন ঘেরাও করা হবে এবং পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকার যেভাবে পালিয়ে গেছে, তাও তাকে মনে রাখতে হবে। তিনি পদত্যাগ না করলে ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধ হলে তাকেও মুখে পালিয়ে যেতে হবে। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের পাশাপাশি আমরা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি। এই সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।এ সময় শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ আমাদের ভাইরা জীবনকে বিলিয়ে দিয়ে শহিদ হয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ এখনও সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তাই সন্ত্রাসী সংগঠনকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। আমরা আজও যে দাবির কথা বলছি তা জনগণের কথা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, স্বৈরাচারের দোসরদের রুখতে, সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও ফ্যাসিবাদের দোসর রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি করছি আমরা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ শিক্ষার্থী মো. ছাব্বির, জিয়াউর রহমান নাঈম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের শিক্ষার্থী সৈয়দ নিজাম উদ্দিন, জাহিদ হাসান, মো. আশিকুর রহমান শোভন, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থী মো. আসিফসহ প্রমুখ।সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ শেষে একটি লাঠি মিছিল বের করা হয় মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় অশি^নী কুমার হলের সামনে এসে শেষ হয়। এসময় মিছিলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, অমৃত লাল দে কলেজ, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

আরও খবর

ফেনীতে ফের বন্যা, তলিয়ে যাচ্ছে জনপদ – মুহুরী ও সিলোনিয়ার বাঁধ ভাঙন, হাজারো মানুষ পানিবন্দী!

দাম বাড়লো লিপস্টিকের, কমলো স্যানিটারি ন্যাপকিনের

নরসিংদীর শিবপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্ডপে অনুদান বিতরণ

ধর্মপাশায় ইটভাটার ছাড়পত্র না থাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

একটা কিনলে অন্যটা কেনার টাকা থাকে না ঝিনাইদহ প্রতিনিধি চার সদস্যের পরিবার নিয়ে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ঋষিপাড়ায় থাকেন ফজলুল রহমান। ভ্যান চালিয়ে দিনে আয় করেন ২৫০-৩০০ টাকা। এর অর্ধেক চলে যায় কিস্তি দিতে। বাকি টাকায় দৈনন্দিন সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে ফজলুর হরিণাকুণ্ডুর একটি দোকানে ডিম কিনতে এসেছিলেন। দাম শুনেই তিনি হতবাক। প্রতি হালি ডিমের দাম চাওয়া হচ্ছে ৫৬ টাকা। ফজলুর লোকমুখে শুনেছেন, সরকার ডিমের দাম কমিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দাম এত বেশি কেন? জিজ্ঞেস করতেই দোকানি বলেন, ‘নিলে নেন, না হলে অন্যখানে যান।’ পকেটের অবস্থা ভালো ছিল না ফজলুরের। বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। এর আগে গিয়েছিলেন স্থানীয় কাঁচাবাজারে। শাকসবজিসহ সব পণ্যের অস্বাভাবিক দামে হতাশা ঘিরে ধরে তাঁকে। আয়ের সঙ্গে খরচের হিসাব মেলাতে পারছিলেন না। ফজলুর রহমান বলেন, ১৫ দিন আগেও প্রতি পিস ডিমের দাম ছিল ১২ টাকা। এখন সেটার দাম কোথাও ১৩ টাকা ৫০ পয়সা আবার কোথাও ১৪ টাকা। হালিতে এই ১৫ দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ৬-৮ টাকা। শাকসবজি, মাছ, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ সবকিছুর দামই বেড়েছে। এভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকলে সীমিত আয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। ২৫০-৩০০ টাকা আয়ের মধ্যে ঋণ নিয়ে কেনা ভ্যানের কিস্তির জন্য দিতে হয় ১৫০ টাকা। বাকি ১০০-১৫০ টাকায় চাল, ডাল, তেল আর তরিতরকারি কেনা যায় না। একটা কিনলে অন্যটা কেনার টাকা থাকে না। কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন সাগর হোসেন। তিনি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত। হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার শুড়া এলাকায় থাকেন স্ত্রী, দুই সন্তান ও মা-বাবা নিয়ে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ছয় সদস্যের সংসারে খরচ চালাতে হিমশিম অবস্থা তাঁর। সাগর বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সবকিছুর দাম বেড়েছে। কোনো কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি। ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে ১৫ অক্টোবর সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ১৯ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সা প্রতি পিসের ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়। বুধবার থেকে এ দামে ডিম বিক্রির কথা থাকলেও বাজারের চিত্র ভিন্ন। একেক জায়গায় একেক রকম দাম নেওয়া হচ্ছ। উপজেলা শহরের কোথাও ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা, কোথাও ১৩ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের বাজারে ১৪ টাকা করে। লাগামহীন ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দামও। বাজারভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা কেজি। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ২৮০-৩২০ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা। লাউ পিস ৫০-৬০ টাকা, আলুর ৬০ টাকা কেজি। ৩০ টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। ৪০ টাকার কাঁচাকলা ৬০ টাকা। ৪০ টাকার শসা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহের চেয়ে এদিন ঢ্যাঁড়শের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকায়। প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা থেকে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা। বেগুন বিক্রি হতে দেখা গেছে ১৩০-১৫০ টাকায়। ৫০ টাকার নিচে বাজারে সবজি মিলছে না। ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। কাঁচাবাজারের বিক্রেতা খাইরুল ইসলামের ভাষ্য, কয়েকদিন আগে টানা বৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া অনেক এলাকায় বন্যা হচ্ছে। মানুষের সবজি ও কাঁচামালের ক্ষতি হয়েছে। এতে সরবরাহ কম। তাই সব কিছুর দাম বেড়েছে। দাম কমাতে হলে আগে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানান পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, আড়ত থেকে কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করেন। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মোড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে আশরাফুল ইসলামের। তাঁর দাবি, খামারির কাছ থেকেই প্রতি পিস ডিম কিনতে হয় ১৩ টাকা ২০ পয়সায়। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ রয়েছে। খুচরায় বিক্রি করছেন ১৩ টাকা ৩৩ পয়সায়। আনার সময় অনেক ডিম ভেঙে যায়। ফলে লাভ থাকে না। শুধু ক্রেতা ধরে রাখতেই ডিম বিক্রি করছেন। উৎপাদক ও পাইকার পর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ডিম বা ব্রয়লার মুরগির দাম খুচরা বাজারে কমবে না বলে মনে করেন তিনি। মাছের বাজারেও একই অবস্থা। এদিন সকালে হরিণাকুণ্ডু শহরের দৈনিক বাজারে প্রতি কেজি রুই ও কাতলা প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ২৫০-৩৫০ টাকায়। পাঙাশ ও তেলাপিয়ার দর ১৫০-২৫০ টাকা; চ্যাঙ ও দেশি পুঁটি বিক্রি হয় ৩২০-৫০০ টাকায়। মাছ বিক্রেতা জয়নাল মিয়ার ভাষ্য, আড়তে তেমন মাছ আসছে না। অল্প পরিমাণে যা আসছে, অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আড়তদার কামাল উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আড়তে মাছ আসে। কিছু এলাকায় বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে প্রচুর ঘের-পুকুর তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া প্রচুর মাছ মারাও গেছে। ফলে সরবরাহ কমেছে, তাই দাম বেশি। ঝিনাইদহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, এই এলাকায় খামারি নেই। ব্যবসায়ীরা পাবনা বা অন্য এলাকা থেকে বেশি দামে ডিম কিনেন। ফলে সরকারের বেঁধে দেওয়া দর নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবুও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ডিমসহ সব নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি চলছে জানিয়ে ইউএনও আক্তার হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দল বি এন পির বিলশা অস্থায়ী কার্যালয়ের নেতৃবৃন্দ উদ্দগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত।

                   

জনপ্রিয় সংবাদ