অন্যান্য

টেকনাফের সাবরাংয়ে পুলিশের অভিযানে ৩২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার, ট্রাক ড্রাইভার ও হেলফার

  প্রতিনিধি 24 October 2024 , 4:06:42 প্রিন্ট সংস্করণ

সাজ্জাদ হোসেন সাগর 

স্টাফ রিপোর্টার

কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাংয়ে একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন,চট্টগ্রাম জেলার ডবলমুরিং
এম আব্দুল হাকিম রোড়, মনসুরাবাদ বর্তমানে
উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের  হাজির পাড়া এলাকার মৃত কালা মিয়ার ছেলে দিলদার মিয়া (৪৫) এবং একই জেলার
পটিয়া থানার মৌলভীহাট ইউনিয়নের ৮নং।ওয়ার্ড
বড়লিয়া এলাকার মোঃ বদিউল আলম প্রকাশ বদি ড্রাইভারের ছেলে মোঃ তৌহিদুল আলম (২৩)।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউপিস্থ ৫নং ওয়ার্ডের ডেগিল্যার বিল সাকিনের শাহপরীরদ্বীপ টু টেকনাফগামী রাস্তা দিয়ে লবণ ভর্তি একটি ট্রাকে করে ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করে নিয়ে যাচ্ছে মর্মে সংবাদ পাওয়া যায়। এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের একটি বিশেষ আভিযানিক টিম অভিযান চালিয়ে
শাহপরীরদ্বীপ থেকে টেকনাফ অভিমূখে লবণ ভর্তি একটি ট্রাক আসতে দেখে তা তল্লাশী করার জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়। সিগন্যাল অমান্য করে চলে যাওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশের আভিযানিক টিমটি ব্যারিকেড দিয়ে উক্ত গাড়িটিকে টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউপিস্থ ৫নং ওয়ার্ডের ডেগিল্যার বিল সাকিনের শাহপরীরদ্বীপ টু টেকনাফগামী রাস্তার পূর্ব পাশে ইসমাইল টাওয়ার-২ এর দক্ষিণ পার্শ্বে জনৈক ডাক্তার এনামুল হকের ফাঁকা জায়গার উপর ট্রাকটি থামানো হয়। উক্ত ট্রাকের ড্রাইভার এবং হেলপার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে  আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারকে পালিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর না দিয়ে এলোমেলো কথাবার্তা বলতে থাকে।
পুলিশের আভিযানিক টিম ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা স্বীকার করে, ট্রাকে রাখা লবণের বস্তার নিচে সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতরে ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে। আটককৃত ব্যক্তিদের দেওযা তথ্য মতে ট্রাকে রাখা লবণের বস্তার নিচে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর থেকে তাদের নিজ হাতে বাহির করে দেওয়া মতে  সর্বমোট ৩২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে উদ্ধার পূর্বক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়। পরে ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারকে আরো ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে তারা জানায়, উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট গুলো উক্ত লবনের মালিক সাবরাং ইউনিয়নের  ৫নং ওয়ার্ড ডেগিল্যার বিল এলাকার
কালু মিয়া প্রকাশ দুবাই কালুর ছেলে হোছন আহমদ (৩৫) এর নির্দেশে চট্টগ্রামে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলো। তারা আরো জানায় হোছন আহমদ  দীর্ঘদিন যাবত লবণ ভর্তি ট্রাকে করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের ব্যবহার করে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার করে আসছে।

তিনি আরো জানান, আটককৃত ব্যক্তি ও পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ধৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।

আরও খবর

বরিশালে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

সৌদিতে দুর্ঘটনায় নিহত, মহম্মদপুরে যুবকের লাশের অপেক্ষায় বাবা-মা।

লক্ষ্মীপু‌রে পুকুর থে‌কে ০৫ মন ওজ‌নের জীবিত কু‌মির উদ্ধার

কিশোরগঞ্জে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত। 

একটা কিনলে অন্যটা কেনার টাকা থাকে না ঝিনাইদহ প্রতিনিধি চার সদস্যের পরিবার নিয়ে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ঋষিপাড়ায় থাকেন ফজলুল রহমান। ভ্যান চালিয়ে দিনে আয় করেন ২৫০-৩০০ টাকা। এর অর্ধেক চলে যায় কিস্তি দিতে। বাকি টাকায় দৈনন্দিন সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে ফজলুর হরিণাকুণ্ডুর একটি দোকানে ডিম কিনতে এসেছিলেন। দাম শুনেই তিনি হতবাক। প্রতি হালি ডিমের দাম চাওয়া হচ্ছে ৫৬ টাকা। ফজলুর লোকমুখে শুনেছেন, সরকার ডিমের দাম কমিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দাম এত বেশি কেন? জিজ্ঞেস করতেই দোকানি বলেন, ‘নিলে নেন, না হলে অন্যখানে যান।’ পকেটের অবস্থা ভালো ছিল না ফজলুরের। বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। এর আগে গিয়েছিলেন স্থানীয় কাঁচাবাজারে। শাকসবজিসহ সব পণ্যের অস্বাভাবিক দামে হতাশা ঘিরে ধরে তাঁকে। আয়ের সঙ্গে খরচের হিসাব মেলাতে পারছিলেন না। ফজলুর রহমান বলেন, ১৫ দিন আগেও প্রতি পিস ডিমের দাম ছিল ১২ টাকা। এখন সেটার দাম কোথাও ১৩ টাকা ৫০ পয়সা আবার কোথাও ১৪ টাকা। হালিতে এই ১৫ দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ৬-৮ টাকা। শাকসবজি, মাছ, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ সবকিছুর দামই বেড়েছে। এভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকলে সীমিত আয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। ২৫০-৩০০ টাকা আয়ের মধ্যে ঋণ নিয়ে কেনা ভ্যানের কিস্তির জন্য দিতে হয় ১৫০ টাকা। বাকি ১০০-১৫০ টাকায় চাল, ডাল, তেল আর তরিতরকারি কেনা যায় না। একটা কিনলে অন্যটা কেনার টাকা থাকে না। কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন সাগর হোসেন। তিনি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত। হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার শুড়া এলাকায় থাকেন স্ত্রী, দুই সন্তান ও মা-বাবা নিয়ে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ছয় সদস্যের সংসারে খরচ চালাতে হিমশিম অবস্থা তাঁর। সাগর বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সবকিছুর দাম বেড়েছে। কোনো কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি। ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে ১৫ অক্টোবর সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ১৯ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সা প্রতি পিসের ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়। বুধবার থেকে এ দামে ডিম বিক্রির কথা থাকলেও বাজারের চিত্র ভিন্ন। একেক জায়গায় একেক রকম দাম নেওয়া হচ্ছ। উপজেলা শহরের কোথাও ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা, কোথাও ১৩ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের বাজারে ১৪ টাকা করে। লাগামহীন ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দামও। বাজারভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা কেজি। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ২৮০-৩২০ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা। লাউ পিস ৫০-৬০ টাকা, আলুর ৬০ টাকা কেজি। ৩০ টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। ৪০ টাকার কাঁচাকলা ৬০ টাকা। ৪০ টাকার শসা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহের চেয়ে এদিন ঢ্যাঁড়শের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকায়। প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা থেকে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা। বেগুন বিক্রি হতে দেখা গেছে ১৩০-১৫০ টাকায়। ৫০ টাকার নিচে বাজারে সবজি মিলছে না। ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। কাঁচাবাজারের বিক্রেতা খাইরুল ইসলামের ভাষ্য, কয়েকদিন আগে টানা বৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া অনেক এলাকায় বন্যা হচ্ছে। মানুষের সবজি ও কাঁচামালের ক্ষতি হয়েছে। এতে সরবরাহ কম। তাই সব কিছুর দাম বেড়েছে। দাম কমাতে হলে আগে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানান পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, আড়ত থেকে কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করেন। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মোড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে আশরাফুল ইসলামের। তাঁর দাবি, খামারির কাছ থেকেই প্রতি পিস ডিম কিনতে হয় ১৩ টাকা ২০ পয়সায়। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ রয়েছে। খুচরায় বিক্রি করছেন ১৩ টাকা ৩৩ পয়সায়। আনার সময় অনেক ডিম ভেঙে যায়। ফলে লাভ থাকে না। শুধু ক্রেতা ধরে রাখতেই ডিম বিক্রি করছেন। উৎপাদক ও পাইকার পর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ডিম বা ব্রয়লার মুরগির দাম খুচরা বাজারে কমবে না বলে মনে করেন তিনি। মাছের বাজারেও একই অবস্থা। এদিন সকালে হরিণাকুণ্ডু শহরের দৈনিক বাজারে প্রতি কেজি রুই ও কাতলা প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ২৫০-৩৫০ টাকায়। পাঙাশ ও তেলাপিয়ার দর ১৫০-২৫০ টাকা; চ্যাঙ ও দেশি পুঁটি বিক্রি হয় ৩২০-৫০০ টাকায়। মাছ বিক্রেতা জয়নাল মিয়ার ভাষ্য, আড়তে তেমন মাছ আসছে না। অল্প পরিমাণে যা আসছে, অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আড়তদার কামাল উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আড়তে মাছ আসে। কিছু এলাকায় বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে প্রচুর ঘের-পুকুর তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া প্রচুর মাছ মারাও গেছে। ফলে সরবরাহ কমেছে, তাই দাম বেশি। ঝিনাইদহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, এই এলাকায় খামারি নেই। ব্যবসায়ীরা পাবনা বা অন্য এলাকা থেকে বেশি দামে ডিম কিনেন। ফলে সরকারের বেঁধে দেওয়া দর নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবুও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ডিমসহ সব নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি চলছে জানিয়ে ইউএনও আক্তার হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সার সরবরাহে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুসরণ, বিপাকে সিন্ডিকেট চক্র

                   

জনপ্রিয় সংবাদ