অন্যান্য

ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে ১০ দফা দাবীতে বিএনপির লংমার্চ ও গণজমায়েত

  প্রতিনিধি 27 October 2024 , 1:08:48 প্রিন্ট সংস্করণ

জেমস্ রহিম রানা / জি এম ফিরোজ উদ্দীন 

পানি সরাও মানুষ বাঁচাও, পানিবন্দি মানুষের পাশে দাঁড়াও শ্লোগানে ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির ডাকে ১০ দফা দাবিতে লংমার্চ ও গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 ২৭ অক্টোবর রোববার বিকেলে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কপালিয়া রাজবংশী পাড়া পূজা মন্দির মাঠে অনুষ্ঠিত গণজমায়েতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক মেয়র এডভোকেট শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

 

সুচনা বক্তব্য রাখেন লংমার্চ ও গণজমায়েত কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতার ফারুক মিন্টু।

 

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য সচিব এডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা সিদ্দিকী, কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান খান, মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ মুছা, কেশবপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, কেশবপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, মহিলা নেত্রী মেরী ইকবাল, আব্দুল হাই, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট মকবুল হোসেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু, পৌর বিএনপি নেতা সন্তোষ স্বর, থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খান আখতার হোসেন, কৃষক নেতা প্রদীপ বিশ্বাস, মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য হরিচাদ মল্লিক, দুর্বা ডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন ও হরিদাস কাঠি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম।

১০ দফা দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে।

২৭ বিলের পানিতে প্লাবিত এবং মরণফাঁদ ভবদহের করালগ্রাসে নিমজ্জিত এলাকাবাসীর জন্য যে ১০ দফা দাবি উপস্থাপিত হবে তা হলো, 

 

/ আমডাঙ্গা খাল খননের মাধ্যমে প্রশস্ত করে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা। 

২/ পাওয়ার পাম্পের সংখ্যা বৃদ্ধি করে অতিদ্রুত পানি সরানো।

৩/ নিয়মিত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা। 

৪/ জলাবদ্ধ এলাকা সমূহকে দূর্গত এলাকা ঘোষণা করে পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা। 

৫/ ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষীসহ কৃষকদের ভর্তুকি প্রদান করা। 

৬/ প্লাবিত এলাকায় ওষুধ সরবরাহ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

৭/ প্লাবিত এলাকার কৃষকদের বিনামূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ করা। 

৮/ পানিতে প্লাবিত এলাকায় এনজিও’র কিস্তি বন্ধ করা 

৯/ ব্যাংকের ঋণের সুদ মওকুফ করে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা।

১০/ এ ছাড়া পানিবন্দি বানভাসি মানুষের মাঝে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা এবং অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা করা।

উল্লেখ্য যশোর-

খুলনার দুঃখ হিসেবে পরিচিত ভবদহ অঞ্চলের অন্ততঃ চার লক্ষাধিক মানুষ কমপক্ষে ৪৪ বছর ধরে স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে মানবতার জীবন যাপন করছেন।যশোরের মনিরামপুর, অভয়নগর কেশবপুর খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদীর মোহনা ভবদহ। পলি পড়ে ভবদহ অঞ্চলের নদীর নাব্যতা হারিয়ে নদীর তলদেশ উচু ও ভবদহ সংলগ্ন বিলের তলদেশ নীচু হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে কয়েকমাস যাবৎ পানিবন্দী হয়ে পড়ে ভবদহ পাড়ের লাখ লাখ মানুষ,কেড়ে নেয় মাথাগোঁজার জায়গাটুকু,পানিবন্দী হয়ে পড়ে রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ধর্মীয় উপাসনালয় প্লাবিত হয় কৃষি জমি,মাছের ঘের।পানির কাছে হেরে যায় লাখ লাখ মানুষ।অনেকের ঠাঁই হয় মহাসড়কের ধারে,স্কুল কলেজ বা আশ্রয়কেন্দ্রে,কেউবা এলাকা ছেড়ে

আশ্রয় নেয় ভিন্ন এলাকায়। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড.শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন।কয়েক যুগ ধরে এই এলাকা কে পুজি করে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে আওয়ামী লীগ এমপিরা। এই এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার সনাতনী ধর্মালম্বী মানুষের বসবাস, সনাতনী ধর্মালম্বীদের সকল সুবিধা দিতে হবে।বাংলাদেশের অন্যতম দুর্গত এলকা এই ভবদহ। আমরা আর এই দুর্গত এলাকা নাম টি শুনতে চাই না, আমরা চাই মুক্তি।এই ভবদাহ এলাকার জলবদ্ধতার সমাধান সহ ১০ দফা দাবীতে অটল থাকবে বিএনপি।

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ