প্রতিনিধি 9 November 2024 , 4:05:32 প্রিন্ট সংস্করণ
সুমন চন্দ্র দে, মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম তিতা মাঝির পাড়া এলাকায় আগুনে পুড়ে যাওয়া অসহায় বিধবা ঝিনুক আকতারের পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে ছুটে এলেন অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী ফয়সাল আমিন।
০৯ই নভেম্বর (শনিবার) দুপুরের দিকে মাতারবাড়িতে আগুনে পুড়ে যাওয়া অসহায় বিধবা ঝিনুক আকতারের পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে ছুটে যান তরুণ উদ্যোক্তা অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী ফয়সাল আমিন।
এসময় অসহায় ঝিনুক আকতার বলেন, আমার ঘরের কিছুই বাঁচাতে পারিনি। আগুনে পুড়ে সব শেষ। একেবারে পথে বসে গেলাম। নিঃস্ব হয়ে গেলাম। গায়ের কাপড়টা ছাড়া আর কিছুই নেই। দুই বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে তিন সন্তান নিয়ে কষ্ট করে জীবন যাপন করছি। তারমধ্য একমাত্র মাথা গুঁজার সম্বলটাই আগুনে কেড়ে নিল। এখন আমি কী করব, ছোট্ট ছোট্ট তিন মেয়ে নিয়ে কই যাবো? কাঁদতে কাঁদতে কথা গুলো বলেন।
একপর্যায়ে ঝিনুক আক্তারের ১২ বছরের কন্যা সন্তান জাহিদার সাথে কথা হল। ঐ সময় ২ বছরের ছোট্ট বোনকে নিয়ে আগুনে পুড়া জিনিস গুলোর কি যেন কুড়াচ্ছে। তাঁর চোখে মুখে ভয়। কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। তার সাথে কথা বলতেই মুহূর্তে কেঁদে দিল। বলল “আমার বই গুলো পুড়ে গেছে”। স্কুলে যামু কি করে?
পরিদর্শনে প্রবাসী ফয়সাল আমিন একটি পরিবারের পুড়ে যাওয়া একটি স্বপ্ন, অসহায় ও তিন সন্তানের জননী বিধবা ঝিনুক আক্তারের করুন কথা সমূহ শুনলেন এবং নিজেই ব্যথিত মনে ঝিনুক আকতার ও তাঁর সন্তানদের শান্তনা দেন। বাড়ী পূর্ন নির্মাণের সহায়তার আশ্বাস দেন। এছাড়াও উপস্থিত সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম তিতা মাঝির পাড়া এলাকার অসহায় বিধবা ঝিনুক আকতারের বসতঘরটি আগুনে পুড়ে যায়। এলাকাবাসীরা এগিয়ে এসে পাশের পুকুর থেকে জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। ঘন্টাখানেক পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে তার আগেই বসতঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এছাড়াও তরুণ উদ্যোক্তা অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী ফয়সাল আমিন সকালে মাতারবাড়ী মগডেইল ইউনূছিয়া ফয়জুল উলূম মাদ্রাসা হেফজখানা ও এতিমখানার উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ পরিদর্শন করেন এবং মাতারবাড়ী ইসলামিয়া আজিজিয়া মাদ্রাসার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।