প্রতিনিধি 21 November 2024 , 9:46:13 প্রিন্ট সংস্করণ
দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যাওয়ায় অভিমানে আলমগীর (৩০) নামের এক যুবক নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছেন। গত রোববার সন্ধ্যায় দিরাই পৌর শহরের কলেজ রোড এলাকার একটি ভাঙাড়ি দোকানে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। আলমগীর জানিয়েছেন, তার স্ত্রীর পর-পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। পরকীয়া প্রেমিক চায়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে। তবে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন আলমগীরের শ্যালক বিল্লাল। ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ীরা বলেন, আলমগীরের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখেন, পার্কিং করা রিকশায় আলমগীর বসে কাতরাচ্ছে। নিচে তার কাটা পুরুষাঙ্গ পড়ে আছে। হামলার কোনো ঘটনা দেখেননি জানিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সে নিজেই তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছে। এরপর আলমগীরকে প্রথমে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে অবস্থা খারাপ হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আলমগীর দিরাই উপজেলার রাজাপুর কান্দি গ্রামের কনির উদ্দিনের ছেলে। আলমগীরের মামা ভাঙাড়ি দোকানের মালিক আজিজ মিয়া বলেন, আমি অসুস্থ। বিছানায় শুয়ে ছিলাম। এ সময় আমার বোনের (আলমগীরের মা) ডাকাডাকিতে উঠে ঘটনা দেখি। দোকানের কর্মচারী আলমগীরের খালাতো ভাই শিপন মিয়া বলেন, আমি দোকানের পেছনে কাজ করছিলাম। চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে ঘটনা দেখি। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে কাউকে হামলা করতে দেখিনি। এদিকে এ ঘটনায় আলমগীর একেকবার একেকরকম বক্তব্য দিচ্ছেন। হাসপাতালে ডাক্তারের জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী পুরুষাঙ্গ কেটেছে বলে জানালেও পরে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নে অপরিচিত লোক চায়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া রাত ১১টা পর্যন্ত অজ্ঞান থাকার বিষয়ে আলমগীরের করা দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া স্বজন এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার সময়েও আলমগীরকে কথা বলতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। আলমগীরের শ্যালক বিল্লাল বলেন, আমার বোনকে স্বামী-শাশুড়ি মারধর করতো। বাড়িতে একা রেখে তারা এখানে-ওখানে চলে যেতো। অনেক সময় রাতে বাড়ি ফিরতো না। এসব কারণে রোববার দুপুরে আমার বোনকে তার দুই সন্তানসহ আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি। দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্ত্রীর ওপর অভিমান করে পুরুষাঙ্গ কাটলেন যুবক
দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যাওয়ায় অভিমানে আলমগীর (৩০) নামের এক যুবক নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছেন। গত রোববার সন্ধ্যায় দিরাই পৌর শহরের কলেজ রোড এলাকার একটি ভাঙাড়ি দোকানে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। আলমগীর জানিয়েছেন, তার স্ত্রীর পর-পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। পরকীয়া প্রেমিক চায়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে। তবে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন আলমগীরের শ্যালক বিল্লাল। ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ীরা বলেন, আলমগীরের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখেন, পার্কিং করা রিকশায় আলমগীর বসে কাতরাচ্ছে। নিচে তার কাটা পুরুষাঙ্গ পড়ে আছে। হামলার কোনো ঘটনা দেখেননি জানিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সে নিজেই তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছে। এরপর আলমগীরকে প্রথমে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে অবস্থা খারাপ হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আলমগীর দিরাই উপজেলার রাজাপুর কান্দি গ্রামের কনির উদ্দিনের ছেলে। আলমগীরের মামা ভাঙাড়ি দোকানের মালিক আজিজ মিয়া বলেন, আমি অসুস্থ। বিছানায় শুয়ে ছিলাম। এ সময় আমার বোনের (আলমগীরের মা) ডাকাডাকিতে উঠে ঘটনা দেখি। দোকানের কর্মচারী আলমগীরের খালাতো ভাই শিপন মিয়া বলেন, আমি দোকানের পেছনে কাজ করছিলাম। চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে ঘটনা দেখি। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে কাউকে হামলা করতে দেখিনি। এদিকে এ ঘটনায় আলমগীর একেকবার একেকরকম বক্তব্য দিচ্ছেন। হাসপাতালে ডাক্তারের জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী পুরুষাঙ্গ কেটেছে বলে জানালেও পরে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নে অপরিচিত লোক চায়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া রাত ১১টা পর্যন্ত অজ্ঞান থাকার বিষয়ে আলমগীরের করা দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া স্বজন এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার সময়েও আলমগীরকে কথা বলতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। আলমগীরের শ্যালক বিল্লাল বলেন, আমার বোনকে স্বামী-শাশুড়ি মারধর করতো। বাড়িতে একা রেখে তারা এখানে-ওখানে চলে যেতো। অনেক সময় রাতে বাড়ি ফিরতো না। এসব কারণে রোববার দুপুরে আমার বোনকে তার দুই সন্তানসহ আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি। দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।