অন্যান্য

যানজটের কারণে অধিষ্ট কিশোরগঞ্জবাসী।

  প্রতিনিধি 28 November 2024 , 6:15:49 প্রিন্ট সংস্করণ

 

নিজাম উদ্দীন

 

কিশোরগঞ্জ এখন যানজটের শহর হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। যানজট থেকে কোনোভাবেই বাঁচতে পারছেনা শহরবাসী। দিন যত যাচ্ছে, যানজট তত বাড়ছে। এদিকে সরু রাস্তা ও যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা রোগী ও শহর কেন্দ্রীক শিক্ষার্থীরা।

 

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের একরামপুর মোড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থার ‍‍‘হৃদযন্ত্র‍‍’ বলা হয়। কারণ এই তিন রাস্তার মোড় দিয়ে জেলার পূরর্বাঞ্চলের করিমগঞ্জ, ইটনা, মিঠামইন উপজেলার প্রায় কয়েক হাজার মানুষ বাস, অটোরিকশা ও সিএনজিযোগে এই মোড় দিয়ে শহরে প্রবেশ করে। যার ফলে মোড়টিতে ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখে মিলে যানজটের। আবার বিকালে অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটির সময় দেখা যায় তীব্র যানজটের। একরামপুর মোড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকলেও মোড়টির দক্ষিণ দিকে প্রায় এক কিলোমিটারের কম দূরত্বে অবস্থান কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের। স্টেশন রোড সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়ি মোড় থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দূরত্ব এক কিলোমিটারের কম। প্রায় ২৫ বছর আগে নির্মিত মেডিকেল কলেজের সামনের এ সড়কের প্রস্থ মাত্র ১০ ফুট। সড়কটি সরু হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাজারও পথচারীর।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রায় এক কিলোমিটার উত্তরে সিদ্ধেশ্বরী মোড় থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত সড়ক এতোটাই সরু যে, দুটি রিকশা পাশাপাশি চলতে সমস্যা হয়। এছাড়া সড়কে ইঞ্জিনচালিত যানবাহন বা ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ঢুকলেই লেগে যায় তীব্র যানজট। সেই যানজট কখনো কখনো পুরো সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। তখন রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে খুব হিমশিম খেতে হয়।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই সরু সড়ক দিয়ে জেলা শহরের হোসেনপুর, করিমগঞ্জ, তাড়াইল, ইটনা, মিঠামইন ও ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসে। এছাড়া রেলওয়ে স্টেশনে আসা ট্রেনের যাত্রী ও জেলার পূরর্বাঞ্চলের ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবহনকারী ট্রাক জেলার বাহিরে যেতে হলে এই সিদ্ধেশ্বরী মোড় হয়ে জেলা বাহিরে যেতে হয়। মোড়টিতে কোনো ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যার ফলে রোগী, শিক্ষার্থী ও পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

 

কিশোরগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ওই মোড়ে যানজটের বিষয়ে আমরা অবগত আছি । বদলি জনিত কারণে আমাদের সদস্য সংখ্যা কম। আমরা বর্তমানে বড়পুর থেকে একরামপুর মোড় পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছি।

S/KS

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন জাকারিয়া আল ফয়সাল, ব্যুরো প্রধান রাজশাহী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে । বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন, রাজশাহী জেলা কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন, রাজশাহী জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান। জেলার ১১ টি কলেজ থেকে আগত শিক্ষক নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। এসময় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, কোটা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে আবু সাঈদসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভূক্তির বিষয়ে জটিলতা দূরীকরণ, বিগত সময়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে গভর্নিং বডি গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে উপাচার্য রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, উপাচার্যের এ সকল সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগের প্রেক্ষিতে অধিভুক্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলো যখন সুফল পেতে শুরু করেছে, ঠিক সেই সময় একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যর্থ করার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হুমকি-ধামকি দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের কার্যক্রমকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা এ ধরনের হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন রাজশাহী জেলা শাখার পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে এ ঘটনায় যে বা যারাই জড়িত থাকুক, তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাচ্ছি। বক্তারা প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনা হলে রাজপথে বড় কর্মসূচি দেওয়ার হুশিয়ারী প্রদান করেন। মানববন্ধন শেষ রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি সানোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জালাল হোসেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, ওয়ালী মোহাম্মদ ওলী, মেহেদি হাসান, বিশ্বজিৎ কুমার, আসরাফুল আলম, দেলোয়ার হোসেন, নুরুল বাসার, তোতা মোল্লা, নাজমুল হক, এনামুল হক, রাকসানা খাতুন, অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ ১১ টি কলেজের শিক্ষকবৃন্দ।

ইউরোপে পড়াশোনার সঙ্গে কাজের সুযোগ:

মনিরামপুরে তিন ব্যক্তির মৃত্যু বিএনপির শোক ও সমবেদনা

বিজয়নগরে ৬২ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।

ইয়াংগুন থেকে টেকনাফে পণ্য বাণিজ্য বন্ধ করলো মিয়ানমার !

” ঢাকা সাভারে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ থানা বিএনপির সভাপতিসহ আহত ২০ “